Friday, September 13, 2019

মেগাবাইট ও মেগাবিটের মধ্যে পার্থক্য (Difference between MBps and Mbps)



হ্যালো বন্ধুরা।
অনেক দিন পর একটা ইনফরমেশনপুর্ন আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি লেখাটি পরে আপনার জ্ঞানের কচকচি একটু হলেও বাড়বে।


তো আজকে আমরা জানবো মেগাবাইট (MBps) ও মেগাবিটের (Mbps) এর মধ্যে পার্থক্যটা কি।
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন মেমরি কার্ড বা কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক অথবা কোনো গানের সাইজ মেগাবাইটে (MBps) এ হিসেব করে থাকি। এমনকি যখন আমরা নিজেদের সিমে কখনও এমবি কিনে থাকি তাও আমরা মেগাবাইটেই হিসেব করে থাকি এবং সিম কোম্পানি মেগাবাইটেই আমাদের তা দিয়ে থাকে। মোটকথা এমবি বা এমবিপিএস বলতে আমরা সাধারণত মেগাবাইটকেই (MBps) বুঝে থাকি। অন্যদিকে মেগাবিট (Mbps) হলো কোনো কিছুর সাইজ বা স্পীড বোঝার খুব পুরনো একটি পদ্ধতি। মেগাবিট (Mbps) মেগাবাইটের চেয়ে ৮ গুন ছোট। অর্থাৎ,
৮ মেগাবিট = ১ মেগাবাইট
(8 Mbps = 1 MBps)

মেগাবিট (Mbps) মেগাবাইটের (MBps) চেয়ে পুরনো পদ্ধতি হলেও সকল ইন্টারনেট স্পীড চেকিং ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যারগুলো (যেমন: Ookla, Fast, Google fibre, Singapore Speed test ইত্যাদি) আপনার ইন্টারনেটের স্পীড মেগাবিটেই (Mbps) মেপে থাকে।




অর্থাৎ যদি Ookla স্পীডটেস্টে আপনার স্পীড 1 Mbps (১ মেগাবিট পার সেকেন্ড ) দেখায় তার মানে হলো আপনি আসলে স্পীড পাচ্ছেন (১÷৮) = ০.১২৫ বা ১২৫ কিলোবাইট (125 KBps). আবার যদি 8 Mbps ( ৮ মেগাবিট পার সেকেন্ড) দেখায় তাহলে আসলে স্পীড পাচ্ছেন (৮÷৮) = ১ মেগাবাইট (1 MBps)।


মেগাবাইট ও মেগাবিট এর পার্থক্য চেনার উপায়: একটা বড় হাতের M আর বাকি অক্ষরগুলো ছোট হাতের হলে সেটা মেগাবিট (যেমন: Mbps). আর যদি সবগুলো অক্ষর বড় হাতের বা শুধু M ও B বড় হাতের আর সব ছোট হাতের হয় তাহলে তা মেগাবাইট (যেমন: MBps বা MBPS)


আজকে এ পর্যন্তই। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

শেয়ার করুন

0 comments: