Showing posts with label Technology. Show all posts
Showing posts with label Technology. Show all posts

Tuesday, January 22, 2019

how to install windows 7 in laptop Bangla Videos || Ma Studio Sandwip || Technology Will Be Ours ||

how to install windows 7 in laptop Bangla Videos || Ma Studio Sandwip || Technology Will Be Ours ||

How To Install Windows On A Laptop Without Operating System Bangla || Ma Studio Sandwip || Technology Will Be Ours || Some of us might be dealing with a second hand or a hand me down laptop or a brand new purchased laptop with no OS on it. How do you go forward? This tutorial will show you how to install Windows on a laptop without an operating system. প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেল টি Subscribe করুন। ধন্যবাদ লাইক কমেন্ট করে পাশে থাকবেন। *** Our Channel Working List: • Adobe Photoshop • Grapich Degain • Printer All Service • Video And Audio Editing • Online Tricks And Tips • Mobile Tutorial • Mobile Flash And Root • Android Apps Review • Education Service • Job Circlur • Other Video Making My Channel আপনার কোন প্রশ্নঃ থাকলে Comment করে জানান। এখানে সকল প্রকারে টেকনোলজি মোবাইল রিলেটেড সকল হেল্প দেওয়া হয়। Thnks For Watching My Videos….. 🌐 Facebook group: https://bit.ly/2FlkEa7 🌐 Facebook page: https://bit.ly/2QuZubr 🌐 My Facebook : https://bit.ly/2TEz4pY 🌐 Website : https://bit.ly/2LZjZwj 🔊 LIKE ➡ SHARE ➡ SUBSCRIBE

Saturday, September 1, 2018

দীর্ঘ আট বছর পর ‘সেন্সরড’ গুগল সার্চ চালু হতে যাচ্ছে চীনে

দীর্ঘ আট বছর পর ‘সেন্সরড’ গুগল সার্চ চালু হতে যাচ্ছে চীনে

দীর্ঘ আট বছর অনুপস্থিত থাকার পর চীনে সার্চ জায়ান্ট গুগল তাদের সার্চ ইঞ্জিনের সেন্সরড সংস্করণ চালু করার পরিকল্পনা করেছে।
দ্য ইন্টারসেপ্টে ফাঁস হওয়া লিখিত কাগজের বরাত দিয়ে বিজনেস ইনসাইডারের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই চীন সরকারের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই প্রকল্পের কোডনেম ‘ড্রাগনফ্লাই’ এবং প্রকৌশলীরা ‘মাওতাই’ ও লংফেই’ নামে একটি কাস্টম অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে।
অ্যাপটি চীনের কর্মকর্তাদের দেখানো হয়েছে এবং চূড়ান্ত সংস্করণ আগামী ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে উন্মুক্ত হতে পারে।
এই সার্চ ইঞ্জিন মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ধর্ম এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বিষয়গুলো গোপন করবে। এমনকি এই বিবিসি কিংবা উইকিপিডিয়ার মতো সাইটগুলো ব্লক থাকতে পারে এই সার্চে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চীন সরকারের কাছ থেকে এই সার্চ ইঞ্জিন এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
গুগলের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, ‘চীনা ডেভেলপারদের সহায়তা করতে আমরা চীনে গুগল ট্রান্সলেট ও ফাইলস গো এর মতো কয়েকটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সরবরাহ করি এবং জেডি.কমের মতো চীনা কোম্পানিগুলিতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করে থাকি।’
কিন্তু ভবিষ্যতের পরিকল্পনার ব্যাপারে অনুমানের বিষয়ে মন্তব্য করার ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
যদি গুগল আবারো চীনে আসতে পারে তাহলে এটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশাল মাইলফলক হবে। গুগল চীনে সেন্সরড সার্চ রেজাল্টে অসম্মতি জানালে ২০১০ সাল থেকে চীনে গুগলের সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
অনলাইন আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বিস্তারিত পড়ুন

অনলাইন আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বিস্তারিত পড়ুন

ব্যবহার কমানোর জন্য বড় ডিভাইস
নিজের স্মার্টফোন আসক্তি সম্পর্কে নিজেকে সতর্ক করতে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিলেন এনভিশনিং টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা মিশেল জাপ্পা। তিনি আইফোনের বদলে ব্যবহার শুরু করেন আইপ্যাড মিনি। এতে আইফোনের সব সুবিধা আছে, শুধু কল করা যায় না। তবে আকারে বড় হওয়ায় আইফোনের মতো স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারতেন না। যখনই হাতে আইপ্যাড তুলে নিতেন, তাঁর মনে হতো যে সময় নষ্ট করছেন। খুব দরকার না পড়লে ট্যাব ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন। পরে ট্যাব ছেড়ে আইফোনে ফিরে গিয়েছিলেন, তবে ব্যবহারে সচেতনতা বেড়েছিল অনেক।
ভূমিতেই এয়ারপ্লেন মোড
সপ্তাহ কয়েকের জন্য ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ মুছে ফেলেন ফাস্ট কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার জন কনভার্স টাউনসেন্ড। একই সঙ্গে প্রতি রাতে নিজের স্মার্টফোনের এয়ারপ্লেন মোড চালু করে রাখতে শুরু করেন। বন্ধুদের অনুরোধে আবারও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার শুরু করেন, তবে এখনো প্রতি রাতে ফোনে এয়ারপ্লেন মোড চালু রাখতে ভোলেন না। এতে অন্তত ঘুমের ব্যাঘাত বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যবহার কঠিন করে তুলুন
গ্রাফিক ডিজাইনার সারাহ লরেন্সের মতে, প্রথম পদক্ষেপ হলো ‘মোমেন্ট’-এর মতো অ্যাপ ইনস্টল করা। স্বাভাবিকের চেয়ে স্মার্টফোন বেশি ব্যবহার শুরু করলেই এই অ্যাপ ব্যবহারকারীকে মনে করিয়ে দেয়। একই সঙ্গে দিনে কতবার ফোন ব্যবহার করছেন, তা-ও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে। নিজের ওপর আরেকটি পরীক্ষা চালান সারাহ। দুই সপ্তাহ স্বাভাবিক রঙে এবং পরের দুই সপ্তাহ ফোনের পর্দা সাদাকালো করে ব্যবহার শুরু করেন। তিনি দেখলেন, পর্দা সাদাকালো করে রাখলে অযথাই যখন-তখন মুঠোফোনের ব্যবহার কমে যায়।
চোখ-কান বন্ধ করে মুছে ফেলুন
২০১২ সালের দিকে গুগল ভেঞ্চারের সাবেক ডিজাইন পার্টনার জ্যাক ন্যাপের আইফোন ব্যবহার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এতটাই বেশি যে শিশুসন্তানদের সময় দিতে পারছিলেন না। এদিকে মুঠোফোন ব্যবহার বন্ধ করাও সম্ভব ছিল না। তখন তিনি ভেবে দেখলেন টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো অ্যাপগুলোতেই বেশি সময় ব্যয় করছেন। দ্বিতীয়বার চিন্তা না করে অ্যাপগুলো মুছে ফেলেন। নিজেকে পরীক্ষার জন্য নেওয়া সে পদক্ষেপ ছয় বছর পর আজও দিব্যি বলবৎ আছে।
রেখে আসুন অন্য ঘরে
এক থেরাপিস্টের পরামর্শ মেনে কোনো ঘরে ঢোকার আগে মুঠোফোন আরেক ঘরে ফেলে আসা শুরু করেন ইয়োনি রেখটম্যান নামের বিনিয়োগকারী। মূলত ফোন থেকে দূরে থাকাই ছিল উদ্দেশ্য। প্রথমে হয়তো ১৫ মিনিটের জন্য, পরে সময়টা ধীরে ধীরে বাড়াতে বলেন তাঁর থেরাপিস্ট। ইয়োনি বলেন, ‘আমি এ কাজটি এখনো পুরোপুরি রপ্ত করে উঠতে পারিনি, তবে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি।
ফেসবুক পেজ চালাতে হলে নতুন নিয়ম মানতে হবে, না মানলে পেজ বন্ধ!

ফেসবুক পেজ চালাতে হলে নতুন নিয়ম মানতে হবে, না মানলে পেজ বন্ধ!

আপনি কি নতুন ফেসবুক পেজ খুলতে যাচ্ছেন? কিংবা আপনার অনেক লাইকের একটি পেজ আছে? কিছু নিয়ম না মানলে পেজ বন্ধ হতে পারে। পেজ চালনার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আনছে ফেসবুক। পেজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী এখন বিশেষ থিম দিচ্ছে। যেমন আপনার যদি রেস্টুরেন্ট পেজ হয় তবে তা রেস্টুরেন্ট আদলের থিম নিতে পারবেন। এতে ফেসবুকের পক্ষে পেজ আইডেন্টটিফাই করতে সহজ হয়। ফেসবুক যেসব পেজে সন্দেহ করছে বা ভুয়া বলে মনে করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, ফেসবুক পেজ অ্যাডমিনদের পরিচয় গোপন করার দিন শেষ। এমনকি ফেসবুকে যা খুশি তা প্রকাশ করা যাবে না। এতে ব্লক হয়ে যাবে পেজ। পেজ মার্জ করার ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা আনছে ফেসবুক।
ফেসবুক বলছে, ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে তারা বেশ কিছু আপডেট আর চেঞ্জ আনছে। এ পরিবর্তন আসলে ফেসবুক পেজ ম্যানেজারদের জন্য কঠোর নিয়মনীতি মানতে হবে। চেঞ্জগুলো হচ্ছে—অথোরাইজেশন, পেজ মার্জ, প্রাইমারি হোম লোকেশন, ‘পিপল হু ম্যানেজ দিস পেজ’ প্রভৃতি।
‘পেজেস পাবলিশিং অথোরাইজেশন’ বা পেজ প্রকাশের অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়। পেজটি কোন দেশ থেকে তৈরি তা লোকেশন বা অবস্থান অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। কোনো পেজ যদি মার্জ করা হয় বা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা হয় তাও দেখার সুবিধা থাকতে হবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা ফেসবুক পেজ চালান বা ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা কঠোর হতে যাচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। পেজে পোস্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নির্দিষ্ট কিছু নিয়মনীতির মধ্যে থাকতে হবে। তাদের এখন টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং কোনো কিছু পোস্ট করার আগে তাদের অবস্থান (প্রাইমারি হোম লোকেশন) ফেসবুককে নিশ্চিত করতে হবে।
ভুয়া খবর প্রকাশ ঠেকানোর লক্ষ্য নিয়ে তারা এ প্রক্রিয়া চালু করছে। হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধেও এতে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। জোর করে অনুমোদনের এ প্রক্রিয়া চলতি মাসের শেষদিকে শুরু হবে।
পেজ হিস্ট্রি পেজের মধ্যে কোন পেজের সঙ্গে কোন পেজ কখন একত্রিত করা হয়েছে তা প্রদর্শন করা হবে। এতে ওই পেজের অনুসারীদের কাছে পেজের স্বচ্ছতা থাকবে। এ ছাড়া অনুসারীরা সচেতন থাকতে পারবেন। এ ছাড়া পেজের সঙ্গে ‘পিপল হু ম্যানেজ দিস পেজ’ নামে একটি সেকশন বা বিভাগ যুক্ত হবে যেখানে পেজ ব্যবস্থাপকদের সম্পর্কে তথ্য থাকবে।

Friday, August 31, 2018

জীবন সহায়ক প্রযুক্তি

জীবন সহায়ক প্রযুক্তি

প্রযুক্তি এ সময়ে যেন এক আশীর্বাদ। রোজকার জীবনের ছোট ছোট ভাবনার দায়িত্বও যেন নিয়ে নিতে চায়।
-ডেইলি ইয়োগা
প্রতিদিনের ইয়োগার প্রশিক্ষণ এবং যোগাসনের ভঙ্গি কেমন হবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে লেখা ও ভিডিওর মাধ্যমে দেখে ও শিখে নেওয়ার চমৎকার একটি অ্যাপ্লিকেশন এটি। ৪০০টিরও বেশি ভিডিওতে খুব সুন্দরভাবে দেখানো আছে করণীয় সব কার্যাবলি। সঙ্গে অনুশীলনের সময় স্বস্তিকর বাদ্যযন্ত্রের বাজনা আপনার অনুশীলনকে আরও প্রশান্ত করে মনকে করে তুলবে সতেজ।
-প্রযুক্তিময় জীবন
একবিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবীতে নিজেদের জীবনকে কীভাবে আরও সহজ করে তোলা যায়, কীভাবে একটি কঠিন কাজকে খুব সহজে শেষ করা যায় এই ভাবনায় আমরা নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করি। বর্তমান সময়ে এসে আমরা আমাদের অনেক কাজই মোবাইল অথবা কম্পিউটারের সাহায্যে করে থাকি। খাবার খাওয়া, কাপড় ধোয়া কিংবা ঘর পরিস্কার- সবকিছুর সমাধান এখন ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। আর সে ক্ষেত্রে মোবাইলের ব্যবহার কম্পিউটারের থেকে অনেকাংশেই বেশি। এখন চাইলেই আপনি কখন পানি খাবেন, আপনার ওষুধের দরদাম, প্রতিদিন কতক্ষণ হাঁটবেন, কোন খাবার কতটুকু খাবেন অথবা বাসায় বসেই ইয়োগা কীভাবে করবেন তা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে জানতে পারবেন খুব সহজেই। আজ তেমনই কিছু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের নাম এবং এদের কার্যকারিতা সম্পর্কিত তথ্য আপনাদের জন্য।
-সেভেন মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ অ্যাপ
এই অ্যাপটির ডিজাইন করা হয়েছিল এমন মানুষদের জন্য, যারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ব্যস্ত। বাজারে আসার পরেই এ অ্যাপটি সবার কাছেই জনপ্রিয় হতে লাগল। ফলে সব থেকে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ্লিকেশন এটা এখন। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সাত মিনিট অনুশীলন করে খুব সহজেই আপনি আপনার শরীরের আকার পরিবর্তন করে নিজেকে ফিট হিসেবে প্রকাশ করতে পারবেন।
-সেভেন মিনিট ওয়ার্কআউট
মূলত কার্যক্ষেত্রে বসেও যেন মানুষ তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারে এই লক্ষ্যেই অ্যাপ্লিকেশনটির ডিজাইন করা হয়। দুই কোটিরও বেশি মানুষের মোবাইলে নিত্যদিন ব্যবহার হচ্ছে এ অ্যাপ্লিকেশনটি। যেখানে ১০০০-এর থেকেও বেশি অনুশীলন, নিজের মতো করে সূচি তৈরি করা, ২০টিরও বেশি ধাপ ছাড়াও বন্ধুদের চ্যালেঞ্জ জানানো আর নিজের অনুশীলনের তথ্য ভাগাভাগির সুবিধাও রয়েছে।
-ডায়েটপয়েন্ট
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের জন্য ১৩০টিরও বেশি পরিকল্পনা রয়েছে অ্যাপটিতে। ৫০০টিরও বেশি পরামর্শ রয়েছে, যা আপনার পরিকল্পাকে সফল করার পথ দেখাবে। সঙ্গে করে আপনার বাজারের ফর্দটিও তৈরি করে দেবে। ডাউনলোড বিনামূল্যে করা গেলেও বিভিন্নভাবে এই অ্যাপের সদস্য হয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা আদায় করা যায়। যার জন্য সামান্য কিছু ডলার খরচ করতে হবে আপনাকে।
-ফুডুকেট
ফুডুকেট আপনার স্বাস্থ্য, সুস্থতা এবং ওজন সঠিকভাবে রক্ষা করতে ও আপনার দৈনন্দিন কার্যকলাপকে রক্ষা করে আপনার লক্ষ্যর দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। দুই লাখ ৫০ হাজারের ওপর খাদ্যের পুষ্টিগুণ দেওয়া আছে, সঙ্গে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দেবে। আপনার ঘুম, মেজাজ, মর্জি ও ক্ষুধার খবরও রাখবে এবং এখানেই আপনি আপনার পছন্দের খাবারের তালিকা রাখতে পারবেন।
-ডাক্তারবাড়ি
যে কোনো প্রয়োজনে যে কোনো সময় ডাক্তারের পরামর্শ পেতে পারেন অথবা ডাক্তারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্যও সাহায্য পাবেন। সব থেকে বড় সুবিধা হলো, আপনাকে সময়মতো ওষুধ খাবার কথা মনে করিয়ে দেবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি। তাছাড়া জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ব্লাড ব্যাংক, ফার্মেসির সঙ্গে প্রতিদিন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ তো আছেই।
-লাইফসাম
আপনার যদি সময়মতো পানি খেতে মনে না থাকে, তৃষ্ণায় ছটফট না করা পর্যন্ত আপনি পানি পান করতে ভুলে যান তবে লাইফসাম নামের অ্যাপটি আপনার জন্য। কারণ এ অ্যাপটি আপনাকে পানি খাবার সময় মনে করিয়ে দেবে, সঙ্গে সঙ্গে যে লক্ষ্যটি আপনি ঠিক করেছেন সেটা পূরণ করতেও সাহায্য করবে ভালোভাবেই।
-টনিক
টনিকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আপনি তাদের ডাক্তারদের কাছ থেকে পরামর্শ পেতে পারবেন যে কোনো সময়। তাছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছাড় পাওয়া যায় বছরের সবসময়ই।
-হ্যাপিফাই
আবেগপ্রবণ মানসিকতার মানুষদের জন্য। আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে উদ্বেগ, হতাশা, নেতিবাচক মনোভাবকে দূরে ঠেলে দিয়ে সুন্দরভাবে জীবনযাত্রা পরিচালনা করার জন্য এই অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্য নিয়ে দেখতেই পারেন।
-আস্ক অ্যাপোলো
মেম্বারদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করে থাকে অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া ডাক্তারের সাক্ষাতের জন্যও সাহায্য ও পরামর্শ দিয়ে থাকে। সব থেকে ভালো সাহায্য যেটা করে তাহলো অনলাইনে অর্ডার নিয়ে বিনামূল্যে পৌঁছে দেয় ক্রেতাদের বাসায়।
-কাল্ম
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে অ্যাপ্লিকেশনটা মানসিক অশান্তি, উদ্বেগ আর চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক প্রশান্তি, আনন্দ ও স্বচ্ছতার সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে অ্যাপ্লিকেশনটি। ৭-২১ দিনের মেডিটেশন প্রোগ্রামে ২৫টির ওপরে পথনির্দেশ দেওয়া আছে, যার প্রতিটি নির্দেশ এক মিনিট থেকে শুরু করে ২০ মিনিট পর্যন্ত ব্যাপ্তি।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এয়ারপ্লেন মোড কেন থাকে : যা জানা খুবই জরুরী

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এয়ারপ্লেন মোড কেন থাকে : যা জানা খুবই জরুরী

অ্যান্ড্রয়েডের এয়ারপ্লেন মোড কি?
এয়ারপ্লেন মোড হচ্ছে একটি সেটিংস যা প্রায় সকল স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং অনুরূপ ডিভাইসগুলোতে থাকে। আপনি যখন এটি অ্যাকটিভ করবেন তখন এয়ারপ্লেন মোড আপনার ফোনের সব ধরনের সিগন্যাল পাঠানো বন্ধ রাখবে। এই মোড চালু থাকা অবস্থায় ফোনের স্ট্যাটাস বারে একটি বিমান আইকন দেখতে পাবেন।
এয়ারপ্লেন মোডের কাজ কী?
এয়ারপ্লেন মোড আপনার ফোনের সব ধরনের ওয়্যারলেস ফাংশন নিষ্ক্রিয় রাখে। যার মধ্যে রয়েছে-
* ব্লুটুথ : ব্লুটুথ হচ্ছে খুব সীমিত রেঞ্জের সংযোগ, যা আপনার ফোনকে স্পিকার, হেডফোন এবং আরো কিছুর সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুবিধা দেয়। এয়ারপ্লেন মোড এটিকে নিষ্ক্রিয় রাখে।
* মোবাইল সংযোগ: আপনি কল করতে পারবেন না, টেক্সট মেসেজ পাঠাতে পারবেন না বা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য মোবাইল ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন না।
* ওয়াই-ফাই : আপনার ফোনো বিদ্যমান থাকা সব ধরনের ওয়াই-ফাই সংযোগগুলো নিষ্ক্রিয় হবে এবং কোনো নতুন ওয়াই-ফাই সংযোগের সঙ্গে যুক্ত হবে না।
এয়ারপ্লেন মোডে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা যায়?
উত্তরটা নির্ভর করে আপনার ডিভাইসের ওপর। তবে বেশিরভাগ আধুনিক ফোনগুলো ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সুবিধা দেয়, ফোন এয়ারপ্লেন মোডে থাকা সত্ত্বেও। আপনি যখন এয়ারপ্লেন মোড চালু করবেন তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়াই-ফাই বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি ম্যানুয়ালি আবার ওয়াই-ফাই চালু করতে পারবেন।
এয়ারপ্লেন মোড চালু থাকা অবস্থায় কুইক সেটিংস থেকে ওয়াই-ফাই অপশনে ক্লিক করুন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অন হয়ে যাবে ওয়াই-ফাই এবং কানেক্ট হবে যদি আপনার ফোন অনুমতি দেয়।
এয়ারপ্লেন মোড ব্যাটারি সাশ্রয় করে?
হ্যাঁ, এয়ারপ্লেন মোড স্পষ্টভাবে আপনার ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ রক্ষায় সাহায্য করে। বিভিন্ন রেডিও তরঙ্গের কার্যক্রমে ফোনের অনেক শক্তির প্রয়োজন হয় যেমন ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপসের নোটিফিকেশন, ব্লুটুথ ডিভাইসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ, মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, লোকেশন চেক করা প্রভৃতি। এসব কাজ ফোনের ব্যাটারি শক্তি শেষ করে, এয়ারপ্লেন মোড একসঙ্গে সবকিছু নিস্ক্রিয় করে দেওয়ায় ফোনের ব্যাটারি শক্তি দারুন ভাবে সাশ্রয় হয়। যেহেতু এয়ারপ্লেন মোডে আপনার ফোন বেশি কাজে ব্যস্ত থাকে না তাই এই মোডে ফোন চার্জও হতে পারে দ্রুত।
অনেক বিমানেই এখন ইন ফ্লাইট ওয়াই-ফাই সেবা বিদ্যমান, সুতরাং আপনি এই ফিচারটি চালু করে উপভোগ করতে পারেন। নিশ্চিত না হয়ে থাকলে, ওয়াই-ফাই কানেক্ট করার আগে বিমানকর্মীর কাছ থেকে জেনে নিন। বিমানে শুধুমাত্র দশ হাজার ফুট ওপরে ওয়াই-ফাই ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। তাই বিমান টেকঅফ এবং ল্যান্ডিংয়ের সময় ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখার ব্যাপারে সচেতন থাকুন। এমনকি অবতরণের পরও।
গেম খেলায় এয়ারপ্লেন মোড কিভাবে সাহায্য করে?
আপনি যদি ফোনে গেম খেলতে পছন্দ করেন কিন্তু বিজ্ঞাপনে বিরক্তবোধ করেন তাহলে এয়ারপ্লেন মোড সাহায্য করতে পারে। কারণ এটি ইন্টারনেট সংযোগ নিষ্ক্রিয় করে, তাই এয়ারপ্লেন মোডে গেম খেলার সময় বিজ্ঞাপন প্রদর্শন হবে না। যাহোক, যে গেমগুলো সবসময় অনলাইনে খেলা লাগে সেগুলোর ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে না। সুতরাং আপনি আপনার পছন্দের কোনো অফলাইন গেম এয়ারপ্লেন মোডে খেলতে পারেন।
এয়ারপ্লেন মোডে ব্লুটুথ কাজ করে?
ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথের ঘটনা একই। এয়ারপ্লেন মোড চালু করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লুটুথ নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও, বেশিরভাগে ফোনে ম্যানুয়ালি আবার ব্লুটুথ চালু করা যায়। বিমান সংস্থাগুলো ব্লুটুথের ব্যাপারে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন, কারণ এর রেঞ্জ খুব সীমিত।
ব্লুটুথ চালু করে ব্লুটুথ সুবিধার হেডফোন, কিবোর্ড এবং অনুরূপ ডিভাইসগুলো স্মার্টফোনে সংযুক্ত করতে পারবেন। এমনকি যখন আপনি বিমান ভ্রমণ করছেন না, তখন এয়ারপ্লেন মোডে ব্লুটুথ হেডফোনের মাধ্যমে অফলাইন মিউজিক উপভোগ করে ব্যাটারি সাশ্রয় করতে পারেন।
এয়ারপ্লেন মোডে ডাটা ব্যবহার করা যায়?
না। কারণ এয়ারপ্লেন মোড আপনার ফোনকে মোবাইল নেওয়ার্ক টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত হতে বাধা দেয়। তাই এই মোডে কোনো ধরনের ডাটা ব্যবহার করতে পারবেন না।
এয়ারপ্লেন মোডে ফোনে কল কিংবা মেসেজ আসবে?
না, কারণ এয়ারপ্লেন মোডে মোবাইল কানেকশন বন্ধ হয়ে যায়। আপনার ফোন এয়ারপ্লেন মোডে থাকা অবস্থায় কেউ যদি আপনাকে ফোন করে তাহলে ফোন বন্ধ রয়েছে শোনাবে। আর সেসময়ের টেক্সট মেসেজ আসবে এয়ারপ্লেন মোড অফ করার পরপরই।
এয়ারপ্লেন মোডে ফোনের অ্যালার্ম কাজ করে?
হ্যাঁ। অ্যালার্ম স্বাভাবিক থাকবে এয়ারপ্লেন মোডেও। অ্যালার্ম ইন্টারনেট কানেকশনের ওপর নির্ভর করে না। অ্যালার্ম অ্যাপ অন করে নিশ্চিতে অ্যালার্ম সেট করুন। এয়ারপ্লেন মোডে যদিও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না, তবে ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট আপনার জন্য অ্যালার্ম সেট করতে পারে।
মিউজিক যেভাবে উপভোগ করবেন এয়ারপ্লেন মোডে
এয়ারপ্লেন মোডে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় গুগল প্লে মিউজিক, স্পোটিফাইয়ের মতো মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপগুলো কাজ করবে না। এয়ারপ্লেন মোডে মিউজিক উপভোগে দুইটি অপশন রয়েছে-
প্রথমত যদি আপনি মিউজিক স্ট্রিমিংয়ের পেইড সার্ভিস ব্যবহার করে থাকেন যেমন স্পোটিফাই প্রিমিয়াম অথবা গুগল প্লে মিউজক অল অ্যাকসেস, তাহলে আপনি ডিভাইসে মিউজিক ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এমনকি এয়ারপ্লেন মোডেও তা শোনার সুবিধা পাবেন।

Thursday, August 30, 2018

আপনি কি ফেসবুক-টুইটার থেকে এক মাস দূরে থাকতে পারবেন?

আপনি কি ফেসবুক-টুইটার থেকে এক মাস দূরে থাকতে পারবেন?

ঘুম থেকে উঠে আপনি প্রথম কোন কাজটি করেন? বিছানা থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ নাকি টয়লেটে যাওয়া? হয়তো একসময় এগুলোই ছিল দিনের প্রথম কাজ। কিন্তু ইদানীং লাখ লাখ মানুষের দিন শুরু হয় মোবাইল ফোনে ফেসবুক বা টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুকে তার নিউজফিড স্ক্রল করে।
যুক্তরাজ্যর রয়্যাল পাবলিক হেলথ সোসাইটি সম্প্রতি ‘স্ক্রল ফ্রি সেপ্টেম্বর’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। ওই ক্যাম্পেইনে পুরো সেপ্টেম্বর মাস ফেসবুক, টুইটারসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো থেকে লগ অফ করে রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
আপনি কি মোবাইল ফোনের দাসে পরিণত হয়েছেন?
যারা সারা দিন মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে বুঁদ হয়ে থাকেন, তাদের বলা হচ্ছে ‘ফোন অ্যাডিক্ট’। চিকিৎসকেরা এটিকে ‘মানসিক ব্যাধি’ বলছেন। তাদের মতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে তরুণ প্রজন্মের মানসিক ব্যাধি ও ঘুমের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর বদলে সারাক্ষণ ফেসবুক, টুইটার নিয়ে পরে থাকায় বাস্তব জীবনে সম্পর্কের ক্ষতিও হচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তাই তারা বলছেন, আপনার ফোনটি নামিয়ে রাখুন।
রয়্যাল পাবলিক হেলথ সোসাইটির সম্পন্ন করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের ৪৭ শতাংশ মনে করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকতে পারলে মানসিক দিক দিয়ে তারা লাভবান হবেন।
তা কতটা করতে পারবেন তারা?
স্ক্রল ফ্রি সেপ্টেম্বর ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছেন ইংল্যান্ডের উইগ্যান শহরের তিন কিশোরী ম্যারিঅ্যান ব্ল্যান্ডামার, এমা জ্যাকসন ও রিয়ানা প্যারি। তারা তিনজনই স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রামের ভক্ত।
১৫ বছর বয়সী রিয়ানা বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠে ওটাই আমার প্রথম কাজ। কে, কী বলছে, তা না জানলে যেন পিছিয়ে যাব। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি আমার ফোনের দাসে পরিণত হয়েছি। কোনো কারণ ছাড়াই সারা ক্ষণ স্ক্রল করেই যাচ্ছি।’
কে কাকে নিয়ন্ত্রণ করছে?
আপনি হয়তো ভাবছেন ফোনের মালিক আপনি। এটিকে আপনিই নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু ইংলিশ কমেডিয়ান রাসেল কেইনের মতে, যন্ত্রটিই আসলে ওই ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি এতটাই নিজের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন যে, ইন্টারনেট অ্যাডিকশন ঠেকাতে তিনি রীতিমতো প্রফেশনাল কাউন্সেলিং নিচ্ছেন।
রাসেল কেইনের বলেন, ‘ইন্টারনেট অ্যাডিকশন আমার জীবনের ওপর প্রভাব ফেলছে। কাজ থেকে ফিরে পরিবারের সঙ্গে না বসে কাপড় বদলাতে চলে যেতাম। আসলে আমি ফোন নিয়ে সময় কাটাচ্ছিলাম।’
রয়্যাল পাবলিক হেলথ সোসাইটির শার্লি ক্রেমার বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করে একে অপরের কাছে এনে মনোজগতে একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলার ভালো সুযোগ ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।’
কিন্তু অনেকের জন্যই তার উল্টোটা হয়েছে। শার্লি ক্রেমারের মতে, ‘সকল সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিকে তার দায় নিতে হবে।’
কীভাবে লগ অফ করে থাকবেন তারা?
ফেসবুক থেকে পুরোপুরি দূরে থাকার কথা শুনলে অনেকেই হয়তো আঁতকে উঠবেন। অনেকের জন্য হয়তো তা সম্ভবও হবে না। কিছু বিষয় চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
প্রথমত পুরো সেপ্টেম্বর মাসটাই সোসাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন। কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই অনুষ্ঠান সম্পর্কে পোস্ট দেওয়া আপাতত বন্ধ রাখুন। সন্ধ্যা ৬টার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢোকার অভ্যাস থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। এ ছাড়া কাজে থাকাকালে নিজের নিউজফিড বা টাইমলাইন থেকে দূরে থাকুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও স্ক্রল করা থেকে নিজেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করুন।
এসব না করলে সময় কাটবে কী করে, আপনার কাছে যদি এমন মনে হয় তবে- এই সময়টুকু বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সঙ্গে কাটান, পছন্দের বই পড়ুন, গান শুনুন, নতুন একটা সিনেমা দেখে ফেলুন, নিজেকে কিছু একটা কাজে ব্যস্ত করুন, পুরনো কোনো শখ আবার মন দিয়ে শুরু করুন, বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসুন, বিশ্রাম নিন, বিছানায় অলস ঘুমিয়ে নিন। দেখবেন সময় দিব্যি কেটে গেছে।

Wednesday, August 29, 2018

মোবাইলের ভবিষ্যৎ নিয়ে যা বলেছিলেন স্টিভ জবস

মোবাইলের ভবিষ্যৎ নিয়ে যা বলেছিলেন স্টিভ জবস

অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। তিনি প্রথম আইফোন উন্মুক্ত করার পর যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তা সত্য হয়েছে।
২৫ জুলাই, বুধবার দ্য ইনফরম্যাশন এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল যৌথভাবে স্টিভ জবসের ২০০৮ সালে নিক উইংফিল্ডকে দেওয়া এক অডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।
ওই সাক্ষাৎকারে স্টিভ জবস বলেছিলেন, ‘আমিসহ অনেকেই বিশ্বাস করেন, মোবাইল অতি প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে উঠবে। কারণ এটি দিয়ে অনেক কিছুই করা যাবে। এজন্য সব সময় মোবাইল সাথেই রাখতে চাইবে মানুষ।
মোবাইলে এমন সব পরিষেবা পাওয়া যাবে, যা ডেস্কটপে প্রাসঙ্গিক নয়। যেমন অবস্থান-ভিত্তিক পরিষেবাগুলো, যা আপনার অ্যাপ্লিকেশনে সমন্বিত থাকবে। আমি মনে করি, এটি বিশাল কিছু হতে যাচ্ছে।’
ভবিষ্যতের অ্যাপ স্টোর নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে স্টিভ জবসের। তিনি বলেছিলেন, ‘কে জানে? সম্ভবত এটি একটি বিলিয়ন ডলারের বাজারে পরিণত হবে একসময়।’
একটি সম্পূর্ণ নতুন বিলিয়ন ডলারের বাজার খুলেছে অ্যাপ স্টোর, যা প্রথম ৩০ দিনেই ৩৬০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। চলতি বছর অ্যাপ স্টোরের ১০ বছর পূর্তি হয়েছে। আর বর্তমান অ্যাপ স্টোরের ব্যবহারকারী সাপ্তাহে ৫০ কোটি, যারা ডেভলপারদের ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয়ে সহযোগিতা করে থাকে।
আবিষ্কৃত হলো মেধা বিকাশের কৃত্রিম উপায়

আবিষ্কৃত হলো মেধা বিকাশের কৃত্রিম উপায়

হলিউডের মুভি বা সায়েন্স ফিকশনে আমরা অনেকেই দেখেছি মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করতে। এক্স ম্যান মুভিতে প্রফেসর জেভিয়ার একটি হেলমেট পরিধানের মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে পৃথিবীর সকল মিউটান্টদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারতেন। তবে এই কল্পবিজ্ঞানের গল্পটিকে সত্যিতে পরিণত করে দেখালো লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি এবং গোল্ডস্মিথস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।
মানব মস্তিষ্ক আজও বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যের বিষয়। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ মানব শরীরের বিভিন্ন কর্মকান্ড ও কর্মক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। মস্তিষ্কের যে অংশটি মানুষের চিন্তাভাবনা ও স্মৃতিকে নিয়ন্ত্রন করে সেটি হলো ডিএলপিএফসি (dorsolateral prefrontal cortex)। এটি মানব মস্তিষ্কের সবচেয়ে সম্প্রতি বিবর্তিত অংশগুলির একটি। চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় মস্তিষ্কের এই অংশটি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। বৈজ্ঞানিক তথ্য ভিত্তিক জার্নাল ‘সায়েন্টিফিক’ এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি এবং গোল্ডস্মিথস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা মস্তিষ্কের এই অংশে মৃদু পরিমাণে বিদুৎ প্রেরণ করে পরীক্ষা করেন। পরীক্ষার ফলে তারা দেখতে পান যে, বিদ্যুৎ প্রেরণের ফলে সাবজেক্টিভ ব্যক্তিদের চিন্তা ও স্মরন শক্তির পরিবর্তন ও উন্নতি সাধিত হয়েছে।
কোন সমস্যায় পতিত হলে নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে সমাধান খুজে বের করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ডিএলপিএফসি (dorsolateral prefrontal cortex) মূলত এই প্রক্রিয়াটিকেই সম্পাদন করে থাকে। কিন্তু যখন সমস্যাটা নতুন হয় তখন পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে পূর্ব অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের সৃজনশীলতাকে বাধাগ্রস্থ করতে থাকে। এরকম পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য মস্তিষ্কে ওই অংশটির সাময়িক ভাবে যদি নিষ্ক্রিয় করা যায় তাহলে নতুন উদ্ভুত সমস্যার ক্ষেত্রে চিন্তা করা সহজতর হয়ে ওঠে। গবেষকরা যাটজন ব্যক্তির উপর পরীক্ষা চালান। পরীক্ষায় তারা দেখতে পান যে ডিএলপিএফসি (dorsolateral prefrontal cortex) এ মৃদু বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে সাবেজেক্টিভ ব্যক্তিরা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে কঠিন সমস্যার সমাধানে সক্ষম হয়ে উঠেছে।
মানুষ তার অদম্য ইচ্ছা ও পরিশ্রমের ফলে আজ উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করছে। কৃত্রিম ভাবে মেধার বিকাশ থেকে শুরু করে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স আজ আর কল্পনা নয়। আর এভাবেই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর গল্পগুলো ভবিষ্যত মানুষের জন্য দৈনন্দিন সত্যতে পরিণত হবে।
বিস্ময়কর কিশোর রিফত সারুক, নাসা’র জন্য ক্ষুদ্রতম স্যাটেলাইট তৈরি করে চমকে দিল গোটা বিশ্বকে!

বিস্ময়কর কিশোর রিফত সারুক, নাসা’র জন্য ক্ষুদ্রতম স্যাটেলাইট তৈরি করে চমকে দিল গোটা বিশ্বকে!

বয়স খুব বেশি না,মাত্র আঠার। কিন্তু এই অল্প বয়সেই নিজের আবিষ্কার দিয়ে তাক লাগিয়ে দিল গোটা বিশ্বকে। রিফত সারুক, বাড়ি ভারতের তামিল নাড়ুর পাল্লাপতি শহরে। ছোটোবেলা থেকেই মহাকাশের প্রতি প্রবল আগ্রহ তার। এই আগ্রহ থেকেই নাসা’র কিডস ক্লাবের সদস্য হয় সে। সম্প্রতি ‘কিউবস ইন স্পেস’ নামে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল নাসা। আর সেখানেই পরিচিতি পায় রিফতের তৈরি এই ক্ষুদ্রতম উপগ্রহটি। দেখতে অনেকটা লুডোর ছক্কার গুটির মতো। মাত্র ৬৪ গ্রাম ওজন। আর খুবই হাল্কা। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম আজাদের নামানুসারে এই উপগ্রহটির নাম রাখা হয় ‘কালামস্যাট’। এই ছোট্ট স্যাটেলাইটি একটি ৪ ঘনমিটারের বাক্সের মধ্যে রাখা আছে।
এক সাক্ষাৎকারে রিফত জানায়,মুলত দেশিও উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়েছে এই উপগ্রহটি। এটির কাঠামো তৈরি হয়েছে থ্রি-ডি প্রিন্টারের সাহায্যে, রিয়ন ফোরস’ড কার্বন ফাইবার পলিমার দিয়ে। এতে ৮ টি সেন্সর আছে যা দিয়ে পৃথিবীর ত্বরণ, ঘূর্ণন, ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের নানা দিক পরীক্ষা করা যাবে।
নাসা সূত্রমতে, আগামী ২১ শে জুন অয়াল্পস দ্বীপ থেকে ‘কালামস্যাট’ মহাকাশে পাঠানো হবে। পুরো মিশনটি সম্পন্ন হতে ২৪০ মিনিটের মতো সময় লাগতে পারে। উপগ্রহটি মহাকাশের মাইক্রো গ্রাভিটি পরিবেশে মাত্র ১২ মিনিট থাকবে। উপগ্রহটি পাঠানোর মুল উদ্দেশ্য হল থ্রি-ডি প্রিন্টেড কার্বন ফাইবারের কর্মদক্ষতা পরীক্ষা করা।
হ্যাক-ফ্রি পাসওয়ার্ড চান? তাহলে অনুসরণ করুন এই ছয়টি উপায়

হ্যাক-ফ্রি পাসওয়ার্ড চান? তাহলে অনুসরণ করুন এই ছয়টি উপায়

আজকাল সবাই সামাজিক মাধ্যম গুলোতে যথেষ্ট অ্যাক্টিভ। দিন রাত সবাই ব্যস্ত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারে নিত্য নতুন আপডেট দিতে। কিন্তু পাসওয়ার্ড চুরির ভয়ে কারো কারো রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। মুখে যা বলি না কেন আমরা সর্বক্ষণ মনে ভয় থাকে এই বুঝি হ্যাকার বাবাজি পাসওয়ার্ড হ্যাক করলো, সব তথ্য লোপাট করলো।
আমরা সবাই এধরনের সমস্যায় পড়ি। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এ সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পেতে পারি।
আসুন জেনে নেই কিভাবে অ্যাকাউন্ট হ্যাক-ফ্রি রাখা যায়?
১. পাসওয়ার্ড তৈরি করার সময় বেশি চিন্তা ভাবনা করবেন না। বাছুন ইচ্ছেমত পাসওয়ার্ড।
২. বেছে নিন লম্বা পাসওয়ার্ড।মিনিমাম ১২ থেকে ১৪ ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড বেছে নিন। স্পেশাল ক্যারেক্টার,অক্ষর, সংখ্যা মিশিয়ে জগাখিচুরি পাসওয়ার্ড তৈরি করুন।
৩. পাসওয়ার্ড তৈরি করার সময় শেষে বা শুরুতে বিস্ময়সুচক চিহ্ন অথবা ক্যাপিটাল লেটার রাখবেন না।
৪. অনেকেই কিন্তু কিবোর্ডের কিগুলি পর পর চেপে পাসওয়ার্ড লিখে। অথবা কিবোর্ডের কিগুলি বাম থেকে ডানে চেপে বা ডান থেকে বামে চেপে এলোমেলো ভাবে সাজিয়ে পাসওয়ার্ড লিখে।এমন ভাবে তৈরি পাসওয়ার্ড সহজে হ্যাক হয়।
৫. পাসওয়ার্ড মনে রাখতে না পারলে এমন জাগায়তে লিখে রাখুন যেন সহজে সেটা কারো চোখে না পড়ে।
৬. নিয়মিত পাসওয়ার্ড চেঙ্গ করুন। ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্ট এ ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।কাউকে নিজের পাসওয়ার্ড বলা থেকে বিরত থাকুন।
ওপরে লেখা নিয়মগুলি মেনে চললে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকবে সুরক্ষিত, ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে নিরাপদ। হ্যাকারদের পাল্লায় পড়ে আর হয়রানির শিকার হতে হবে না। নাকে তেল ঘুমাতে পারবেন নিশ্চিন্তে!
১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবী ছাড়তে হবে নইলে নিশ্চিহ্ন হবে সমগ্র মানবজাতি, এমনটাই স্টিফেন হকিং এর ভবিষৎবাণী।

১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবী ছাড়তে হবে নইলে নিশ্চিহ্ন হবে সমগ্র মানবজাতি, এমনটাই স্টিফেন হকিং এর ভবিষৎবাণী।

সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে আমাদের জীবনে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন টেকনোলজি। যা দৈনন্দিক জীবন যাপন অনেক সহজ ও আরামের করে দিচ্ছে। নতুন আবিষ্কারের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিল্প কল-কাঁরখানা। সেই সাথে বাড়ছে অপচনশীল বর্জ্য, বিষাক্ত কালো ধোঁয়া যা পরিবেশ দূষণনের কারণ। বাড়ছে উষ্ণায়ন, খুব তাড়াতাড়ি হয়ত গোটা পৃথিবীটাই বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। আর সেটা কত তাড়াতাড়ি ঘটতে পারে তারই একটা আভাস পাওয়া গেছে।
“তাড়াতাড়ি খুঁজে নিতে হবে বসবাসযোগ্য নতুন কোন গ্রহ,হাতে আছে আর মাত্র ১০০ টা বছর এর মধ্যে পৃথিবী ছাড়তে হবে অন্যথা নিশ্চিহ্ন হবে সমগ্র মানবজাতি”, এমনটাই বলেছেন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। বিবিসির নির্মিত নতুন তথ্যচিত্র “এক্সপেডিশান নিউ আর্থ” এ তিনি এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি আগেও কয়েকবার এবিষয়ে কথা বলেছেন তবে এবার খুবই জোর দিয়ে বলেছেন।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এক ভাষণে তিনি বলেন, “নতুন কোন বসবাস উপযোগী গ্রহের উপর সমগ্র মানবজাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, যত দ্রুত সম্ভব এই ক্ষণস্থায়ী গ্রহ (পৃথিবীকে) পরিত্যাগ করতে হবে নাহলে সমূহ বিপদ।” পরে তিনি এই সমস্যার বুদ্ধিদীপ্ত সম্ভাব্য সমাধান ও ইতিবাচক আশা ব্যক্ত করে ভাষণ শেষ করেন।
কেন স্টিফেন হকিং এধরনের ভবিষৎবাণী করলেন?
তার মতে, পৃথিবীর পরিবেশ আবহাওয়া খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। আগামিতে এই পরিবর্তনের হার আরও বেড়ে যাবে। বাড়বে উষ্ণায়ন, সমুদ্র পৃষ্ঠের জলস্তর। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে অক্সিজেন কমে যাবে, মহামারী দেখা দেবে, জনসংখ্যা বাড়বে, ছোটো বড় গ্রহ-গ্রহানু পৃথিবীর উপর আছড়ে পরবে। পৃথিবী পুরোপুরি বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাসযোগ্য নতুন কোন গ্রহ খুঁজে না পেলে মানবজাতির সম্পূর্ণ বিলুপ্তি হবে।
কিভাবে হাজার অগণিত সৌরমণ্ডলএর মাঝে বাসযোগ্য কোন নতুন গ্রহ খুঁজে পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে বিবিসির নির্মিত নতুন তথ্যচিত্র “এক্সপেডিশান নিউ আর্থ” নতুন পর্বগুলো থেকে। আর এ বিষয় নিয়ে বেষণা চলছে ।
বিশ্বের প্রথম ফাইভ-জি ফোন দেখে নিন

বিশ্বের প্রথম ফাইভ-জি ফোন দেখে নিন

বিশ্বের প্রথম ফাইভ-জি ফোন নিয়ে আসছে চীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লেনোভো। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট চ্যাং চেং দাবি করছেন তারাই বিশ্বের প্রথম ফাইভ জি ফোন বাজারে নিয়ে আসবে। চীনের এক মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটে এই দাবি করেছেন তিনি।
যদিও এর আগে সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যা খবর প্রচারের অনেক অভিযোগ রয়েছে চ্যাং এর বিরুদ্ধে। লেনোভো জেড ফাইভ লঞ্চের আগে তিনি সোশাল মিডিয়ায় যে সব দাবি করেছিলেন তার কোনটাই এখনও সঠিক হয়নি। তাই বিশেষজ্ঞরা এই দাবিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। প্রসঙ্গত স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই একাধিক স্মার্টফোন কোম্পানি ফাইভ জি ফোন বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ চিপসেট বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে কোয়ালকম। এটি ফাইভ জি ফোনের জন্য বানানো হচ্ছে। এই খবর সত্যি হলে এই বছরের শেষেই বিশ্বের প্রথম ফাইভ জি ফোন লঞ্চ হবে বলে জানিয়েছেন টেক গুরুরা।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কমার হার কত?

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কমার হার কত?

নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে এখন ফেসবুক। সেটা হল তরুণদের ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। তরুণেরা এখন চায় নতুনত্ব। ফেসবুক সে নতুনত্ব দিতে পারছে না। বরং অন্য প্ল্যাটফর্মের নকল করার অভিযোগ উঠছে। প্রযুক্তি যুগে তরুণদের ধরে রাখার মূল চ্যালেঞ্জ হল—নিত্য নতুন ফিচার চাই। নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রযুক্তি যদি নিজেকে নতুন ভাবে উপস্থাপন করতে না করতে পারে, ক্রমে সে হারিয়ে যাবে, এটাই নিয়তি। ফেসবুক কি সে পথেই হাঁটছে?
বিবিসি বলছে, ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে নিয়ে ‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’ নামে ২০১০ সালে যে চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছিল, সেখানে মার্ক জাকারবার্গের চরিত্রের একটি সংলাপ ছিল-“স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে যায়, কারণ তাদের বন্ধুরা অনলাইনে। তাই একজন সরে পড়লে, অন্যরাও সরে পড়ে। ” ফেসবুকের ব্যাপারে ওই বাক্যই ধীরে ধীরে সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। অন্তত যুক্তরাষ্ট্রে।
সামাজিক যোগাযোগের জন্য ১৩ থেকে ১৭ বছরের কিশোর তরুণদের মধ্যে ফেসবুক এখন আর সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম নয়। তালিকার প্রথম তিনটির মধ্যেও ফেসবুক এখন আর নেই। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছে, তরুণরা প্রচণ্ডভাবে ইউটিউবে ঝুঁকে পড়ছে। ৮৫ শতাংশই বলছে, তারা ইউটিউব ব্যবহার করে। তারপরই রয়েছে ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাট।
যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর তরুণদের মধ্যে ফেসবুকের অবস্থান এখন চতুর্থ। ৫১ শতাংশ তরুণ-তরুণী এখনও ফেসবুক ব্যবহার করছে। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে ফেসবুক ২০ শতাংশ ব্যবহারকারী হারিয়েছে। তবে এখনও অপেক্ষাকৃত অসচ্ছল পরিবারের সন্তানদের কাছে ফেসবুকের আবেদন রয়েছে।
মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, মা-বাবা, দাদা-দাদিদের সংখ্যা ফেসবুকে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রেই তরুণদের কাছে দ্রুত অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগের সাইটটি। তথ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। ইমার্কেটার বলছে, ফেসবুক ও ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামের তুলনায় স্ন্যাপচ্যাট এখন বেশি টানছে তরুণদের। তবে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক ব্যবহারকারী বাড়ছে। এর কারণ হচ্ছে, বয়স্ক ব্যক্তিরা ফেসবুক ব্যবহার করছেন বেশি। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে ফেসবুকের মূল ব্যবহারকারী ছিলেন তরুণেরা। ইমার্কেটারের ওই প্রতিবেদনে তরুণদের আকর্ষণ ও ধরে রাখতে ফেসবুকের সমস্যার বিষয়টি উঠে এসেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ফেসবুক ব্যবহার ৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমবে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রেও ফেসবুক ব্যবহার কমতে দেখা যাবে। ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সব মিলিয়ে ২৫ বছরের কম বয়সী ২০ লাখ ব্যবহারকারী হারাবে ফেসবুক। এতে সুবিধা হবে স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রামের। ২০১৮ সালে স্ন্যাপচ্যাটে ১৯ লাখ ব্যবহারকারী বাড়বে। ইনস্টাগ্রামে বাড়বে ১৬ লাখ। বার্তা পাঠানোর পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাওয়ার প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপচ্যাটে ১২ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের আগ্রহ ইনস্টাগ্রামের চেয়ে বেশি থাকবে। তবে সব বয়সী ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ফেসবুকের মতো সমস্যায় পড়তে হবে স্ন্যাপচ্যাটকে।
ইমার্কেটারের বিশ্লেষক ডেবরা আহো উইলিয়ামসন বলেন, স্ন্যাপচ্যাটের নকশা বদল করে ব্যবহার সহজ করা হচ্ছে। সব বয়সী ব্যবহারকারী বাড়াতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলে তরুণদের আগ্রহ ধরে রাখার সমস্যায় পড়তে হবে স্ন্যাপচ্যাটকে। ফেসবুক বর্তমানে এ সমস্যায় আছে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট। ১৬ কোটি ৯৫ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছে সেখানে।
ইমার্কেটারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী দাঁড়াবে ১০ কোটি ৪৭ লাখ আর স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারকারী দাঁড়াবে ৮ কোটি ৬৫ লাখে। গত বছরে ইমার্কেটার পূর্বাভাস দিয়েছিল, এ বছর প্রথমবারের মতো তরুণদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারী কমতে দেখা যাবে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আস্থা ধরে রাখতে পারবে কি না, এ প্রশ্ন অবশ্য উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। পিউ রিসার্চ সেন্টারের করা সমীক্ষা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের ফেসবুক আর আকর্ষণ করছে না। এত দিন তরুণদের বড় একটি অংশ ফেসবুকে মেতে থাকলেও এখন তারা ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্মে ঝুঁকে পড়েছে। পিউয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী তরুণদের ৫১ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহার করছে। সে তুলনায় ইউটিউব ব্যবহারকারীর হার ৮৫ আর ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী ৭২ শতাংশ। ৬৯ শতাংশ ব্যবহার করছে স্ন্যাপচ্যাট। এর আগে ২০১৪-১৫ সালে পিউয়ের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল ৭১ শতাংশ তরুণ ফেসবুক ব্যবহার করছে। ওই সময় তরুণদের কাছে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফেসবুক ছিল শীর্ষে।
পিউ রিসার্চের গবেষক মনিকা অ্যান্ডারসন বলেন, মাত্র তিন বছর আগে তরুণদের কাছে সামাজিক যোগাযোগের যে ক্ষেত্রটি অগ্রগণ্য ছিল, এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তরুণদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক বাদেও অনেক ছড়িয়ে গেছে। তারা যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্মে আটকে নেই। এখন তারা আগের চেয়ে বেশি ডিজিটাল উপায়ে সংযুক্ত। এবারের সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৯৫ শতাংশ তরুণের স্মার্টফোন আছে এবং ৪৫ শতাংশ সব সময় অনলাইনে থাকে। ৩১ শতাংশের মত হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগের প্রভাব ইতিবাচক। ২৪ শতাংশ এর প্রভাব নেতিবাচক বলে মনে করছে।
প্রায় ২০০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক। কিন্তু কয়েকটি সমীক্ষা ও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, স্ন্যাপচ্যাট ও ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামের উঠে আসার কারণে তরুণেরা ফেসবুকে আগ্রহ হারাচ্ছে। এর আগে ই-মার্কেটার নামের আরেক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষায় একই রকম তথ্য উঠে এসেছিল।
এ ধরনের বিভিন্ন পরিসংখ্যান ফেসবুকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিবিএইচ ইনসাইটের ড্যানিয়েল আইভস্ বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক নিয়ে যে জল্পনা চলছিল, সর্বশেষ গবেষণায় তা সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে। ফেসবুকের মালিক মার্ক জাকারবার্গ বলছেন, ২০১৭ সালের শেষ তিন মাসে ফেসবুকে কাটানোর সময় ৫ কোটি ঘণ্টা কমেছে। তিনি বলেন, ভিডিওর সংখ্যা কমানোর ফলে এটি হয়েছে।
তরুণদের সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারের প্রবণতা নিয়ে গবেষণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুনজিন সো। কেন ফেসবুক ছেড়ে তরুণরা ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের দিকে ঝুঁকছে তার কতগুলো কারণ তিনি দিয়েছেন। ফেসবুকে বিভিন্ন বয়সীদের গতিবিধি, বিশেষ করে তাদের বাবা-মা এবং গুরুজনদের অবস্থানের কারণে অনেক তরুণ-তরুণী এই প্লাটফর্ম ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
তবে তরুণদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা হারালেও, সামগ্রিকভাবে এখনও ফেসবুক সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ২০১৮ সালের প্রথম তিন মাসে নতুন চার কোটি ৮০ লাখ মানুষ প্রতিদিন ফেসবুকে ঢুকছে। এছাড়া তরুণদের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের মালিকানাও ফেসবুকের হাতে।
তিন ভাঁজ করা যাবে স্যামসাং নতুন গ্যালাক্সি-এক্স

তিন ভাঁজ করা যাবে স্যামসাং নতুন গ্যালাক্সি-এক্স

তিন ভাঁজ করা নতুন সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এক্স। ২০১৮-র আগস্টেই লঞ্চ হতে পারে এই ফোনটি। গ্যালাক্সি-এক্স ফোনের মূল বিশেষত্ব হলো এটাতে থাকছে ৭.৫ ইঞ্চির ফুল এইচডি এলইডি স্ক্রিন। গ্যালাক্সি-এক্স এর স্ক্রিনটি ভাজ করা যাবে দুই থেকে তিনবার মুড়ে। একারণে ফোন ভাঁজ করে রাখা হলেও সম্পূর্ণ খোলার পর ভাঁজের জন্য কোনো রেখা বা দাগ আলাদা করে বোঝা যাবে না গ্যালাক্সি-এক্স Galaxy X-এ। ১ লাখ বার ভাঁজ করে রাখার পরও স্ক্রিন এবং বডি কোনো রকম ক্ষতিগ্রস্তও হবে না। গ্যালাক্সি-এক্স ফোনে র‍্যাম থাকবে ৬ জিবি। ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি ১২৮ জিবি-র আশেপাশে রাখা হবে যা ২৫৬ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, কোয়াড কোর প্রসেসর সম্বলিত এই ফোনের সেলফি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। উন্নত মানের রিয়ার ক্যামেরাটি ১৮ মেগা পিক্সেল।
এছাড়াও গ্যালাক্সি-এক্স ক্যামেরায় থাকছে একাধিক অত্যাধুনিক ফিচার। এছাড়া ৬০০০ mAh-এর ব্যাটারি থাকতে পারে এই ফোনে।
তবে নতুন পণ্য নিয়ে সদা সতর্ক স্যামসাং তাদের Samsung Galaxy X-এর স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি। ভারতে এই ফোনটির দাম ৩৯,৯৯০ টাকা হতে পারে মনে করা হচ্ছে।
২০১৮-র আগস্টে স্যামসাং গ্যালাক্সি এক্স লঞ্চ হতে পারে বলে কয়েকটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আবার কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে জানুয়ারি, ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এ ফোনটি লঞ্চ হতে। তবে স্যামসাং এর পক্ষ থেকে এখনো এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
মোবাইল প্রসেসরের ইতি বৃত্তান্ত | আপনি কোন প্রসেসরটি নির্বাচন করবেন?

মোবাইল প্রসেসরের ইতি বৃত্তান্ত | আপনি কোন প্রসেসরটি নির্বাচন করবেন?

মোবাইল প্রসেসর মূলত চারটি বড় কোম্পানি বানায়। কোয়ালকম, মিডিয়াটেক, স্যামসাং এবং এনভিডিয়া। এখন এই চার কোম্পানিকে প্রসেসর বানাতে যে নকশার প্রয়োজন পড়ে অর্থাৎ আর্কিটেকচার এর প্রয়োজন পড়ে, তা আর্ম নামক একটি কোম্পানি লাইসেন্স এর সাথে সরবরাহ করে থাকে। আপনি যখনই একটি নতুন ফোন কেনার চিন্তা করেন তখনই আপনার মনে অবশ্যই ৩ টি বিশেষ চিন্তা আসে। একটি হলো আপনার ফোনটি ল্যাগ করবে কিনা? দ্বিতীয়ত ফোনটি কতটা গরম হতে পারে? এবং তৃতীয়ত ফোনটির ব্যাটারি লাইফটা ভালো হবে কি না? এবং টেকনিক্যালি এই তিনটি কথাই কোথাও না কোথাও যুক্ত থাকে ফোনটির প্রসেসরের সাথে। তাছাড়া আপনি যখনই দুইটি বা তিনটি ফোনের মধ্যে তুলনা করেন তখন দেখেন যে, ফোনটির প্রসেসর ডুয়ালকোর? না কোয়াডকোর প্রসেসর? না অক্টাকোর। এবং এদের ফ্রিকুএন্সি কার কত বেশি! আর আমাদের মানুষ জাতির তো একটা মূল মন্ত্র আছেই যে বেশি নাম্বার মানে বেশি ভালো জিনিস। তাই তো আমরা সর্বদা ভেবে দেখি যে অক্টাকোর প্রসেসর কোয়াডকোর প্রসেসর থেকে বেশি ভালো এবং ২ গিগাহার্জ ফ্রিকুএন্সি ১.৫ গিগাহার্জ ফ্রিকুএন্সি থেকে ভালো। আর এই মূলমন্ত্রের সাথে চিপকে লেগে থাকার জন্য জেনে বা অজান্তে আমরা ভুল করে থাকি এবং ভুল প্রসেসর নির্বাচন করে ফেলি।

যেকোনো প্রসেসরের মধ্যে তুলনা করার আগে ৪ টি বিষয়ের উপর বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজনীয়। এই বিষয় গুলো ছাড়া আপনি কখনোয় একটি প্রসেসর এর সাথে আরেকটির তুলনা করতে পারবেন না। শুধু কোয়াডকোর বা অক্টাকোর হওয়াতে কোন পার্থক্য হয় না। এছাড়াও অনেক বিষয় আছে এবং আমি আপনাদের সাথে তা নিয়ে এখন আলোচনা করবো।
১/ আর্কিটেকচার
সর্ব প্রথম বিষয়টি হলো প্রসেসরটির আর্কিটেকচার বা নকশা। আমি আগেই বলেছি প্রসেসর প্রস্তুতকারী কোম্পানিদের আর্ম নামক একটি কোম্পানি লাইসেন্স এর সাথে আর্কিটেকচার ডিজাইন সরবরাহ করে থাকে। এবং এই কোম্পানিটির আর্কিটেকচার ডিজাইন বছরের পর বছর ধরে উন্নত হতেই চলেছে। যেমন প্রথমে কর্টেক্স এ৫ ছিল তারপর এ৭, এ৯, এ১১, এ১৫, এ৫৩, এ৫৭, এ৫৯ ইত্যাদি। আপনি ভাবতে পারেন এগুলো কি এবং এগুলো দিয়ে কি হবে? দেখুন সহজ বাংলা ভাষায় বুঝতে নাম্বার যতো বেশি হবে ততো ভালো ডিজাইন আপনি দেখতে পাবেন। যেমন কর্টেক্স এ৫৭ এ৫৩ থেকে উন্নত অথবা কর্টেক্স এ১৫ এ৯ থেকে উন্নত। অর্থাৎ প্রসেসর শুধু কোয়াডকোর বা অক্টাকোর হলেই হবে না দেখতে হবে যে এই প্রসেসরে কোন আর্কিটেকচার ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে।
২/ টেকনোলজি
দ্বিতীয়ত কথা আসে টেকনোলজির। অর্থাৎ সেই প্রসেসরটি বানাতে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তার। দেখুন একটি প্রসেসরে ছোটছোট লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি ট্রানজেস্টর লাগানো থাকে। এখন একেকটি ট্রানজেস্টরের আকার যতো ছোট হবে, প্রসেসর ততো দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে এবং তো বেশি ব্যাটারি সেভ করবে। এখানে কি হয়, প্রসেসর প্রস্তুতকারী কোম্পানিগন আর্ম থেকে যে আর্কিটেকচার ডিজাইন পায় তা নিজেদের ইচ্ছা মতো হিসেবে এবং টেকনোলজি অনুসারে ট্রানজেস্টর ছোট এবং বড় হিসেবে তৈরি করে। বর্তমানে স্যামসাং সেই হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে। স্যামসাং তাদের নিজস্ব টেকনোলজি ব্যবহার করে সবচাইতে ছোট ট্রানজেস্টর বানিয়ে ফেলেছে। এবং এর সাইজ ১৪ ন্যানোমিটার। কোয়ালকম এর সাইজ ২০ ন্যানোমিটার, মিডিয়াটেক কখনো ২৬ কখনো ২৮ ন্যানোমিটার ট্রানজেস্টর তৈরি করে। তো আপনার প্রসেসরের ট্রানজেস্টর গুলোর সাইজ যতো ছোট হবে আপনি ততোবেশি কার্যক্ষমতা দেখতে পাবেন এবং আপনার প্রসেসরের স্পীড ততো বেশি হবে।
৩/ প্রসেসরের কোর সংখ্যা
তৃতীয়ত যে বিষয়টি এসে থাকে তা হলো নাম্বার অফ কোরস। অর্থাৎ প্রসেসরের কোর সংখ্যা। এখন এই কোর জিনিসটা কি? চলুন সহজ ভাষায় বুঝবার চেষ্টা করি কোর সম্পর্কে। মনে করুন আমি একটি প্রসেসর, এবং আমার দুইহাত হলো আমার দুইটি কোর। যেহেতু আমার কাছে দুটি কোর অর্থাৎ দুটি হাত আছে সুতরাং আমি দুইটি কাজ একসাথে করতে পারবো। এখন কোনো প্রসেসর যদি কোয়াডকোর হয় তবে এর মানে হলো এর কাছে চারটি হাত রয়েছে। চার হাত মানে একসাথে সে চারটি কাজ করতে পারবে। আরেকটি প্রসেসর হলো অক্টাকোর, অর্থাৎ এর ৮ টি হাত রয়েছে। অর্থাৎ সে ইচ্চামত আরামছে যেকোনো কাজ করতে পারবে। এখন ভেবে দেখুন যে একটি কাজ যদি আমি দুই হাতে করি এবং একই কাজ যদি ৮ হাতে করা হয় তবে সে কাজটি কত তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। অর্থাৎ কোর হলো প্রসেসরের একেকটি হাত। যা একসাথে মিলে বা আলাদা আলদা করে এক কাজকে অনেক সহজে অনেক দ্রুত সম্পূর্ণ করতে পারে। এবং এর ফলে প্রসেসর গরমও কম হয়। তো কোয়াডকোর এবং অক্টাকোর প্রসেসরের ক্ষেত্রে অক্টাকোর উত্তম হবে। কিন্তু অক্টাকোর তখনই উন্নত হবে যখন এর আর্কিটেকচার এবং বানানোর প্রযুক্তির সমান একতা থাকবে। যদি এই বিষয় গুলো আলদা আলাদা হয় তবে আপনি কখনই বলতে পারবেন না যে কোয়াডকোর বেশি ভালো না অক্টাকোর বেশি ভালো।
৪/ ফ্রিকুএন্সি (গিগাহার্জ)
দেখুন সর্বশেষে যে জিনিসটি আসে তা হলো গিগাহার্জ। অমুক প্রসেসর ২ গিগাহার্জ, তমুক প্রসেসর ১.৫ গিগাহার্জ। তো গিগাহার্জ এর মানে টা কি? দেখুন প্রত্যেকটি প্রসেসরের সাথে একটি ঘড়ি লাগানো থাকে। এবং সেই ক্লক বা ঘড়ির টাইমিং এর সাহায্যে প্রসেসর কাজ করে থাকে। এখন ১ গিগাহার্জ প্রসেসরের মানে হলো এই প্রসেসর ১ সেকেন্ডে ১০ কোটিবার কাজ করবে। এখন একটি কাজ করতে একটি প্রসেসরকে কত গুলো ওয়ার্ক সাইকেল ব্যবহার করতে হবে তা নির্ভর করে প্রসেসরটির উপর এবং কাজটির উপর। প্রসেসরের ১ বার কাজ করার সময়কে একটি ওয়ার্ক সাইকেল ধরা হয়।
আপনার কোন প্রসেসরটি নির্বাচন করা উচিৎ?
আসল কথা হলো আপনি যখনই কোন মোবাইল প্রসেসর কে তুলনা করতে যাবেন তখন চেক করে দেখুন এটি কোন আর্কিটেকচার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। আপনি হয়তো লেখা থাকা দেখতে পাবেন যে কর্টেক্স এ৫৩ অথবা এ৫৭। এবং খেয়াল করুন যতো বেশি নম্বর দেওয়া থাকবে ততো ভালো আর্কিটেকচার ডিজাইন হবে। এর পর চেক করে দেখুন প্রসেসরটি যে টেকনোলজি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে সেটা কোন টেকনোলজির। সেটা ১৪ ন্যানোমিটার না ১৬ না ২০? এই সাইজ যতো কম হবে আপনার প্রসেসর ততো বেশি গতি সম্পূর্ণ হবে এবং পাওয়ার কম খরচ করবে। তৃতীয়ত খেয়াল করে দেখুন প্রসেসরটিতে নাম্বার অফ কোর কতটি আছে। কোর যতো বেশি হবে ততো ভালো কথা, কিন্তু এর সাথেসাথে টেকনোলজি এবং আর্কিটেকচারও উন্নত হওয়া প্রয়োজনীয়। মনে করুন একটি প্রসেসর তৈরি করা হয়েছে ২৮ ন্যানোমিটার টেকনোলজিতে এবং সেটিতে ২৫ কোর আছে 😛 এবং আরেকটি প্রসেসর তৈরি করা হয়েছে ১০ ন্যানোমিটার টেকনোলজিতে এবং সেটিতে ৮ কোর আছে 🙂 তবে ৮ কোর ওয়ালা প্রসেসর ২৫ কোরকে পিছে ফেলে আগে চলে যাবে।
চতুর্থ বিষয়টি হলো ফ্রিকুএন্সি, যা আপনি সচরাচর গিগাহার্জ এর রূপে দেখতে পান। এটিও যতো বেশি হবে ততো বেশি ভালো। কিন্তু পিছনের আলোচ্য তিনটি জিনিস সমান উন্নত হওয়া প্রয়োজন।
ভবিষ্যতের স্মার্টফোন গুলো আসলে কেমন হতে পারে? ২০৫০ সালের স্মার্টফোন!

ভবিষ্যতের স্মার্টফোন গুলো আসলে কেমন হতে পারে? ২০৫০ সালের স্মার্টফোন!

আজকে প্রযুক্তি কতোদ্রুত সামনের দিকে এগোচ্ছে এই ব্যাপারে বিশেষ করে বর্ণনা করার আর কিছু নেই। আমাদের প্রযুক্তিতে ক্রমবর্ধমান স্পীড দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা অলরেডি ফিউচারে বাস করছি। এই ব্লগে আমি পূর্বে অনেক টাইপের ফিউচার টেক নিয়ে আলোচনা করেছি, এর মধ্যে অনেক ফিউচার টেক বর্তমানে আমাদের কাছে লাইভ টেক কিন্তু আরো কিছু উন্নতি করার প্রয়োজন আছে। চিন্তা করে দেখুন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আর মেশিন লার্নিং এর কথা! বছর খানেক আগে এগুলো শুধু বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মজাদার আর অকল্পনীয় আর্টিকেল হিসেবে শোভা বাড়িয়েছে। কিন্তু আজকে দেখুন, ধীরেধীরে প্রত্যেকটি বিষয়ে এই মেশিন লার্নিং আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রবেশ করে নিচ্ছে—ফোনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে, ক্যামেরাতে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনকি ওয়েবসাইট গুলোতেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে!

চিন্তা করে দেখুন ১৯৮০ সালের কথা, যখন পকেটে একটি ছোট সেলফোন, যেটা কল আর ম্যাসেজ রিসিভ করতে পারে, এমনটা হওয়া কোন সায়েন্স ফিকশন থেকে কম কিছু ছিল না। কিন্তু তারপরে চিন্তা করে দেখুন মাত্র দশ বছর পরে, ১৯৯০ সালের কথা, যখন সেলফোন ব্যবহার করে ওয়েব ব্রাউজ করা আরম্ভ হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আজকের স্মার্টফোন গুলো কি না করতে পারে?—সুপার ফাস্ট ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারে, যেকোনো টাইপের অ্যাপ্লিকেশন রান করাতে পারে, আপনি গেমিং করতে পারেন, দিন দিন স্মার্টফোন ক্যামেরা গুলো আরো এবং আরো উন্নতি প্রাপ্ত হচ্ছে, স্মার্টফোনের সাথে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট যেটা ভয়েস কম্যান্ড নিয়ে কাজ করতে পারে, চিন্তা করে দেখেছেন, আপনি আপনার ফোনের সাথে কথা বলতে পাড়ছেন, যেটা কিনা শুধু মাত্র একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইজ!
তো এই অবস্থায়, খুব ভাবতে ইচ্ছা করছে, ঠিক ভবিষ্যৎ স্মার্টফোন গুলো কেমন হতে পারে! দশ, বিশ, বা পঞ্চাশ বছর পরের স্মার্টফোন গুলোতে আমরা কি ধরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবো? হতে পারে এই আর্টিকেলে বর্ণিত অনেক ফিউচার স্মার্টফোন ফিচার একেবারেই শুনতে পাগলের মতো লাগতে পারে, কিন্তু এগুলো শুধু মাত্র আমার কল্পনা। এবং হ্যাঁ, অবশ্যই আপনার ক্রেজি আইডিয়া গুলোও আমরা জানতে চাই! তাই অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে আপনার আইডিয়া গুলো সকলের সাথে শেয়ার করুণ!
ভবিষ্যৎ স্মার্টফোন
আমার মতে ভবিষ্যৎ স্মার্টফোন গুলোকে আর ফোনই বলা হবে না। স্মার্টফোন গুলোতে এতো শক্তিশালী ফিচার চলে আসবে, ফলে আর একে ফোন বলাটাই ঠিক হবে না, জাস্ট “কম্পিউটার” বলা হবে। আমি বিশ্বাস করি অদূরভবিষ্যতে সমস্ত কিছু কম্পিউটার নির্ভরশীল হয়ে পড়বে, ইন্টারনেট অফ থিংস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে, স্মার্ট হোমের সবকিছু ইন্টারনেট দ্বারা কানেক্টেড থাকবে। শুধু আপনার স্মার্টফোন নয়, বাড়ির টিভি, ফ্রিজ, এসি, কতিপয় সেন্সর, স্মার্ট ওয়াসিং মেশিন, এমনকি দরজা পর্যন্ত ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকবে। আর আপনার ফোন হবে এগুলোর কন্ট্রোলিং ইন্টারফেস। কয়েক বছর পরে হয়তো আপনার চোখের সামনে কোন ফিজিক্যাল কম্পিউটার দেখতে পাবেন না, কিন্তু সমস্ত কিছু অবশ্যই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত হবে। আর আপনার ফোনকে গেটওয়ে হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন, যেটা সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রন করবে।
ভবিষ্যৎ স্মার্টফোন
ভবিষ্যৎ স্মার্টফোন কেমন হবে, সেটা দুইভাবে ভাবা সম্ভব। প্রথমত, যদি প্রযুক্তির অসাধারণ উন্নতি লাভ করে, তাহলে স্মার্টফোন কোন ফিজিক্যাল ফোনই থাকবে না! আপনাকে ফোন করার জন্য কিছুই টাচ করতে হবে না, বা সেখানে কিছু দেখার জন্য কোন ডিসপ্লে থাকবে না, আর অবশ্যই শোনার জন্য কোন স্পীকারও থাকবে না। সমস্ত ফোন আর ব্রেইনে সরাসরি ইন্সটল থাকবে। যেহেতু এখানে আমরা ২০৫০ সালের কথা বলছি, সেহেতু ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস টেকনোলজি ততোদিনে নিশ্চয় আমাদের মাঝে লাইভ হয়ে যাবে।
চিন্তা করে দেখুন, আপনার মস্তিষ্কের মধ্যে জাস্ট একটি চিপ ফিট করানো থাকতে পারে। অথবা আপনাকে জাস্ট ছোট্ট একটি হেডসেট প্রদান করতে হবে, যেটা আপনার মস্তিষ্ক থেকে সিগন্যাল গ্রহন করে কাজ করবে এবং উল্টা মস্তিষ্কে সিগন্যাল সেন্ড করবে। আপনি যদি কাওকে কল করতে চান, জাস্ট সেটার সম্পর্কে ভাবতে হবে, সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয় কল চলে যাবে এবং কলিং সাউন্ড কোন স্পীকারের মাধ্যমে আপনার কানে নয়, বরং মস্তিষ্কের মধ্যে সরাসরি সিগন্যাল সেন্ড করে আপনি তা শুনতে পাবেন। ভিডিও দেখার জন্য বা ভিডিও চ্যাট করার জন্য কোন স্ক্রীনের প্রয়োজন পড়বে না, লাইভ ভিডিও ফুটেজ সরাসরি আপনার মস্তিষ্কে সিগন্যাল সেন্ড করার মাধ্যমে আপনি তা দেখতে সক্ষম হবেন। এই চিন্তা গুলো আমার কল্পনা হলেও, এগুলো কিন্তু মোটেও অযৌক্তিক নয়! অলরেডি আমাদের কাছে এমন টেক মজুদ রয়েছে, যার মাধ্যমে মানুষের সমস্ত ব্রেইন ডাটা কম্পিউটারে আপলোড করা সম্ভব এবং কম্পিউটার থেকে আমার সেই ডাটা গুলো ব্রেইনে ডাউনলোড করানোও সম্ভব। অর্থাৎ ডিজিটাল ডাটা এবং মানুষের ব্রেইনকে একত্রে মিলিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয়, তার প্রযুক্তি আমাদের কাছে রয়েছে।
মাইন্ড আপলোডিং বা অমরত্ব প্রযুক্তিকে বিজ্ঞানীরা দাবী করেছে, এটা ২০৪৫ সালের মধ্যে ব্যস্তব রুপ প্রদান করা সম্ভব হবে। যেহেতু এখানে আমরা কথা বলছি ২০৫০ সালের স্মার্টফোন নিয়ে, অবশ্যই স্মার্টফোনকে ভবিষ্যতে মানুষের মস্তিষ্কের সাথে সরাসরি কাজ করানোর জন্য উপযোগী করে তোলা সম্ভব হবে। যেকোনো ডিজিটাল ডাটা কনভার্ট করে সরাসরি হয়তো আপনার মস্তিষ্কেই সেভ করা হবে। স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন গুলো সরাসরি মস্তিষ্ক থেকে রান করানো সম্ভব হবে, আপনি সরাসরি ব্রেইন থেকে অ্যাপ্লিকেশন নিয়ন্ত্রন এবং ব্রেইন গেমিং করতে পারবেন।
ব্রেইন স্মার্টফোন
আপনি নিশ্চয় ভাবছেন কিভাবে সরাসরি মস্তিষ্কে ভিডিও সিগন্যাল সেন্ড করা সম্ভব! দেখুন, টেকনিক্যালি এটা সম্ভব, কেনোনা আমাদের মস্তিস্কই এই স্টাইলে কাজ করে। যখন আপনি চোখে কোন কিছু দেখেন, সেই দেখার উপর ভিত্তি করে চোখ থেকে মস্তিষ্কে একটি বিশেষ সিগন্যাল সেন্ড হয়, আর এই সিগন্যালের হুবহু সিগন্যাল তৈরি করা এবং মস্তিষ্কে সেন্ড করা সম্ভব। এর মাধ্যমে ক্যামেরা থেকে সিগন্যাল তৈরি করে মস্তিষ্কে সেন্ড করে অন্ধদের দৃষ্টিশক্তি প্রদান করা সম্ভব। যখন আপনি কোনকিছু দেখেন, আপনার চোখ সেখানে সামান্যই ভূমিকা পালন করে, বেশিরভাগ ভূমিকা থাকে আপনার মস্তিষ্কের। তো কেন কোন চিপ থেকে ভিডিও সিগন্যাল তৈরি করে আপনার মস্তিষ্কে সেন্ড করে সেই ভিডিওকে আপনার মস্তিষ্কে দেখানো যাবে না? অবশ্যই বুঝতে পারছেন, এটা কতোটা সম্ভাব্য বিষয় হতে পারে।
এখানে প্রশ্ন শুধু স্মার্টফোন আর ভিডিও, কলিং, বা কমিউনিকেশনের নয়। যদি এমন স্মার্টফোন তৈরি করা সম্ভব হয়, যেটি ব্রেইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে, তাহলে অবশ্যই প্রত্যেকটি জিনিষ মস্তিস্ক ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে। আপনার ঘরের মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান, লাইট, আপনার কার, জিপিইএস ন্যাভিগেশন —সমস্তকিছু আপনার কল্পনার এবং অকল্পনীয়, প্রায় সবকিছুকে জাস্ট মস্তিকের সাহায্যে কম্যান্ড দিয়েই কাজ করানো যাবে।
যদি ভবিষ্যৎ স্মার্টফোন কোন ফিজিক্যাল ডিভাইজ হয়
যদি আমাদের উন্নতি এতোটা চরমে পৌছাতে না পারে, যদি স্মার্টফোন গুলো তখনো কোন ফিজিক্যাল ডিভাইজই হয়ে থাকে, তাহলে কল্পনাটা খুববেশি কঠিন কিছু হবে না। তবে এর মানে এও নয়, অসাধারণ কিছু দেখতে পাবো না! আজকের স্মার্টফোন গুলো কোনদিকে এগোচ্ছে তার দিকে লক্ষ্য করতে গেলে সামনের স্মার্টফোন গুলোতে একটি জিনিষ অবশ্যই ট্রেন্ড হতে চলেছে, তা হলো “জিরো ব্যাজেল ফোন“। আজকের ফোন গুলোতে অবশ্যই খেয়াল করে দেখেছেন আগের তুলনায় অনেক কম ব্যাজেল রাখা হচ্ছে। এলজি জি৬ বা স্যামসাং গালাক্সি এস ৮ ফোনের ব্যাজেল একেবারেই কম, কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যাজেল মুক্ত নয়। তবে অবশ্যই কয়েক বছরের মধ্যে আমরা জিরো ব্যাজেল ফোন দেখতে সক্ষম হবো, হয়তো সামনের দিকে স্ক্রীন ছাড়া আর কিছুই অপ্রয়োজনীয়ভাবে জায়গা দখল করবে না।
অকল্পনীয় ব্যাটারি লাইফ
সামনের স্মার্টফোন গুলোতে সবচাইতে উল্লেখ্যযোগ্য পার্থক্য আসতে চলেছে, আর সেটা হচ্ছে ব্যাটারি লাইফ। হ্যাঁ, আজকের ফোন গুলো অনেক উন্নত কিন্তু ব্যাটারি লাইফ এতোটাও উন্নত নয়। এমন হলে কেমন হবে, যদি পুরো সপ্তাহ বা পুরো মাস ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয় বিনা চার্জ করে! আবার চার্জ করার সময় হয়তো ২-৫ সেকেন্ড প্রয়োজনীয় হতে পারে। এখন আমাদের কাছে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি রয়েছে, কিন্তু সামনের দশ থেকে বিশ বছরে হয়তো সুপার ক্যাপাসিটার স্মার্টফোনে যুক্ত হয়ে যাবে ফলে ৫ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগবে না স্মার্টফোনকে চার্জ করতে। আজকের ব্যাটারি টেকনোলজি ব্যবহার করে ৭ দিন বা ৩০ দিন একটানা চার্জ ধরে রাখা সম্ভব নয়, কিন্তু সামনে আশা করা যায় সম্পূর্ণ নতুন ব্যাটারি টেকনোলজি আমাদের সামনে চলে আসবে।
ওয়্যারলেস চার্জিং
সাথে আমার যতোদূর মনে হয়, হেডফোন জ্যাক যেরকমভাবে ফোন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, ভবিষ্যতে ফোন থেকে পাওয়ার জ্যাক বা চার্জিং পোর্টও সরিয়ে ফেলা হবে। হয়তো ওয়্যারলেস চার্জিং এতো উন্নতি প্রাপ্ত হবে, আরো অনেকবেশি রেঞ্জের মধ্যে ফোন চার্জিং করা সম্ভব হবে। হয়তো আপনি ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই ফোনের চার্জিং শুরু হয়ে যাবে। আবার এমন ইলেকট্রনিক আবিষ্কার করাও হয়তো সম্ভব হতে পারে, যেটা চলতে বিদ্যুতের দরকারই নেই!
মোড়ানো স্ক্রীন
যদি কথা বলি ভবিষ্যৎ ফোনের স্ক্রীন টেকনোলজি নিয়ে তো অবশ্যই নতুন কোন প্রযুক্তি আসতে চলেছে যেটা অসাধারণ ডিসপ্লে কোয়ালিটি দিতে সক্ষম হবে। আজ থেকে দশ বা বিশ বছর পরে নয়, অবশ্যই কয়েক বছরের মধ্যেই প্রত্যেকটি ফোনে ওলেড স্ক্রীন ব্যবহার হওয়াটা একটি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে দাঁড়াবে। স্ক্রীনে প্রচণ্ড হাই রিফ্রেশ রেট থাকবে, হতে পারে ১০০০ হার্জ। আর হাই রিফ্রেশ রেট অর্জন করার জন্য অবশ্যই ওলেড স্ক্রীন প্রয়োজন পড়বে, কেনোনা ওলেড হাই রিফ্রেশ রেট অর্জন করার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত!
সাথে ফোন গুলোর সাথে মোড়ানো ডিসপ্লে ফিচার থাকতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে হয়তো ফোনটির ডিসপ্লে কয়েকটি পার্টে ফোল্ড করা থাকবে, এতে আপনি এই অবস্থাতেই সাধারণ ইউজ করতে পারবেন। কিন্তু যখন বড় স্ক্রীন প্রয়োজনীয় হবে, জাস্ট ফোল্ড গুলো সরিয়ে স্ক্রীনকে বড় করে নিতে পারবেন। আর বড় স্ক্রীনের কতো সুবিধা থাকতে পারে সেগুলো নিশ্চয় বর্ণনা করার প্রয়োজন নেই, এক্সট্রা সুবিধা হিসেবে ফোনটিকে আবার মুরিয়ে পকেটে নিয়ে নিতে পারবেন।
ফিউচার ফোন
সাথে হয়তো আজকের মতো স্ক্রীন থাকবেই না ফিউচার ফোন গুলোতে। হতে পারে ফোনের মেন্যু সরাসরি হাওয়াতে ভেসে বেড় হবে। হ্যাঁ, আমি রিয়াল হলোগ্রাফিক স্ক্রীনের কথা বলছি, যেখানে স্ক্রীন থেকে যেকোনো কিছু হলোগ্রাম হয়ে বেড় হয়ে আসবে। হতে পারে ফোনের সাথে আলাদা কোন ডিভাইজ থাকবে যেটা ছাদে সেট করা থাকতে পারে, এতে আপনি হলোগ্রাফিক ভার্সনে কারো সাথে ভিডিও কল করতে পারবেন। সে ব্যাক্তিটি জাস্ট আপনার ফোনের স্ক্রীন থেকে বেড় হয়ে আসবে, এবং আপনার কাছে সমস্ত কিছু ব্যাস্তব মনে হবে। সাথে ডিসপ্লে এমন কোন ম্যাটেরিয়াল দ্বারা তৈরি করা হতে পারে, যেটাতে দাগ ফেলা বা ডিসপ্লে ভাঙ্গা অসম্ভব হয়ে যাবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
অবশ্যই ফিউচার ফোন গুলোতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিস্তরভাবে ব্যবহার হতে আরম্ভ করবে। আপনার ফোনের নিজে থেকেই ধারণা থাকবে সে একটি ফোন, এবং সময়ের সাথে সাথে এবং আপনার ব্যাবহারের সাথে ফোনটি কিভাবে আপনাকে আরো বেটার এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করবে, সেটা আয়ত্ত করে নেবে। আপনি কখন ঘুম থেকে উঠেন, আপনি কখন অফিসের জন্য বেড় হোন, আজ কি কারণে আপনার লেট হয়েছে সবকিছু ফোন আপনাকে আলার্ট করে দেবে, আপনাকে হয়তো ম্যানুয়ালি কিছুই করার প্রয়োজন পড়বে না। সাথে যেকোনো কথা আপনার সাথে সাথে ফোনও শুনে রাখবে এবং সেই অনুসারে কাজ করবে। এখন ধরুন আপনাকে মা ফোন করে বলল, বাসা ফিরার সময় অবশ্যই অমুক বাজার করে নিয়ে আসবে। ফোন সেটি বুঝতে পারবে, এবং নোট করে রাখবে। এবার বাসায় ফেরার সময় বাজারের দিক দিয়ে যেতেই জাস্ট ফোন আপনাকে মনে করিয়ে দেবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মোটেও কোন রবোটিক মনে হবে না। সে যথেষ্ট বুদ্ধিমান হবে এবং প্রচণ্ড বুদ্ধির সাথে আপনার প্রত্যেকটি টাস্ক হান্ডেল করবে। ভবিষ্যৎ স্মার্টফোন এ হয়তো এমন কোন সেন্সর লাগানো থাকবে যেটা আমার স্বাস্থ্য নিয়মিত স্ক্যান করবে। যদি হঠাৎ করে কোন সাস্থের সমস্যা দেখা দেয়, আপনার ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সরাসরি হসপিটালে ফোন করে দেবে আর জিপিএস লোকেশন পাঠিয়ে দেবে। হতে পারে সেসময়ে সেলফ ড্রাইভিং কারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে, আর স্বয়ংক্রিয় এ্যাম্বুলেন্স আপনাকে নিতে চলে আসবে, এখানে মানুষের কোন প্রয়োজনই পড়বে না। তো এভাবে স্মার্টফোনের বদৌলতে লাখো মানুষের জীবন বেঁচে যাবে।
সেল সার্ভিস
ডুয়াল সিম কার্ড ব্যবহার করা এবং এটি স্মার্টফোনের বর্তমানে একটি স্ট্যান্ডার্ড ফিচার, এতে একটি ফোনে দুইটি নাম্বার ব্যবহার করার সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু আমার মনে হয়, অদূর ভবিষ্যতে একটি সিম কার্ড একসাথে একাধিক নাম্বার ধারণ করার ক্ষমতা অর্জন করবে। আপনি যেকোনো সময় সিমের নাম্বার হয়তো পরিবর্তন করতে পারবেন বা সেল অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন কোন প্রকারের ফিজিক্যাল সিম কার্ড পরিবর্তন না করে। আবার এমনটাও হতে পারে ফোনে আর সিম কার্ডের প্রয়োজনই থাকবে না। হয়তো সেল সিগন্যাল ফোনে এমনিতেই রিসিভ হবে আপনাকে জাস্ট কোন অপারেটর ব্যবহার করবেন সেটা মেন্যু থেকে সিলেক্ট করতে হবে এবং ঐ অপারেটরের ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড প্রবেশ করিয়ে অপারেটর থেকে সকল সুযোগ সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন। যখন ইচ্ছা জাস্ট ইউজার নেম পরিবর্তন করুণ, অপারেটর এবং সেল নাম্বারও পরিবর্তন হয়ে যাবে।
সেল সার্ভিস
অবশ্যই ফিউচার সেল নেটওয়ার্কে গিগাবিট ইন্টারনেট দেখতে পাওয়া যাবে। যদিও আজকের লেটেস্ট ৪জি টেকনোলজি কয়েক মেগাবিট পর্যন্ত স্পীড দিতে সক্ষম, কিন্তু সেটা অনেক ব্রডব্যান্ড থেকে অনেক কম স্পীড! অবশ্যই সেল অপারেটর’রা তাদের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে অস্বাভাবিক উন্নতি নিয়ে আসবে, হয়তো ৫জি বা ৬জি টেকনোলজি বেড় করার মাধ্যমে গিগাবিট ইন্টারনেট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আর কয়েক বছরের মধ্যে ফোনে যে টেরাবাইট স্টোরেজ দেখতে পাওয়া যাবে, সেটা আমি বিনা কল্পনা করেই বলে দিতে পারি।
সিকিউরিটি
২০৫০ সালের মধ্যে হ্যাকিং আর ক্র্যাকিং কোন লেভেল অর্জন করবে বুঝতে পাড়ছেন তো? তাহলে চিন্তা করে দেখুন, সিকিউরিটিকে কতোটা এগিয়ে রাখতে হবে। আজকের দিনে আমাদের কাছে লেটেস্ট সিকিউরিটি টেকনোলজি হিসেবে রয়েছে ফেস আইডি, দেখা যাক, এটা ব্যবহার করার পরে সত্যিই কতোটা সিকিউরিটি প্রদান করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি ফিঙ্গার প্রিন্ট বা টাচ আইডি অবশ্যই অনেক ভালো সিকিউরিটি ব্যবস্থা! কিন্তু এর চেয়েও আরো সিকিউর কিছুর কথা কল্পনা করা যাক। চিন্তা করা যাক ব্রেইন প্রিন্ট সিকিউরিটির কথা, যেখানে আপনার শরীরে সিকিউরিটির জন্য হতে পারে কোন চিপ প্ল্যান্ট করতে হতে পারে। চিন্তা করে দেখুন, ব্রেইন প্রিন্ট টেকনোলজির মাধ্যমে জাস্ট ফোন আনলক করার কথা মাথায় এনে আপনি ফোন আনলক করতে পারবেন। আপনাকে কেউ ফোর্স করতে পারবে না, যদি এই সিস্টেম চেক করে আপনার মস্তিষ্কে উত্তেজনা হচ্ছে আপনাকে ভয় দেখানো হচ্ছে, কখনোই আপনার ফোন আনলক হবে না। আর এই রকম সিকিউরিটি বাবস্থা এজন্যই কল্পনা করতে পারছি, কেনোনা এটা বর্তমানে আমাদের মাঝে লাইভ রয়েছে। আপনি আমার ব্রেইন প্রিন্ট আর্টিকেলটি পড়লেই বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ব্রেইন প্রিন্ট সিকিউরিটি
আবার বায়োমেট্রিক চিপ ইমপ্ল্যান্টের কথা চিন্তা করুণ, মনে করুণ আপনার শরীরের মধ্যে বা হাতের মধ্যে কোন চিপ ইঞ্জেক্ট করে দেওয়া হলো, যেটা অনেকটা সিকিউরিটি কী’র মতো কাজ করবে। আপনাকে কোন পাসওয়ার্ড প্রবেশ করানোর দরকার পড়বে না, জাস্ট ফোনটি ঐ চিপের নির্দিষ্ট রেঞ্জে আসতেই ফোন আনলক হয়ে যাবে। ফিঙ্গার প্রিন্টকে আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না, কিন্তু ইলেকট্রনিক চিপের নাম্বার সহজেই পরিবর্তন করা সম্ভব।
যদি প্রযুক্তিতে সঠিকভাবে উন্নতি আনা সম্ভব হয়, এই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি বাক্য সত্য করা সম্ভব হবে।

Friday, August 24, 2018

আপনার কম্পিটারের USB port বন্ধ করুন

আপনার কম্পিটারের USB port বন্ধ করুন

কম্পিউটার একটি ব্যাক্তিগত জিনিস। কম্পিউটারে আমাদের অনেক ব্যাক্তিগত তথ্য জমা থাকে।  অনেক সময় এই তথ্য বা ব্যাক্তিগত অনেক জিনিস চুরি বা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই আপনার কম্পিটারের USB port closed করে দিন। যাতে কেও চুরি করতে না পারে। চলুন শুরু করা যাক।

প্রথমে আপনার কম্পিটারে ডেস্কটপ পেজে my computer এর উপর মাউস পয়েন্টার রেখে ডান বাটন ক্লিক করে manage এ ক্লিক করুন।  একটি বক্স আসবে সেখানে  Device manager এ ক্লিক করে universal serial bus controllers থেকে USB root hub থেকে মাউসের ডান বাটনে ক্লিক করে Disable করে দিন। তাহলেই কোন USB শো করবেনা। USB port closed হয়ে যাবে। সিস্টেম ঠিক করতে same সিস্টেমে enable করে দিন