সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে আমাদের জীবনে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন টেকনোলজি। যা দৈনন্দিক জীবন যাপন অনেক সহজ ও আরামের করে দিচ্ছে। নতুন আবিষ্কারের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিল্প কল-কাঁরখানা। সেই সাথে বাড়ছে অপচনশীল বর্জ্য, বিষাক্ত কালো ধোঁয়া যা পরিবেশ দূষণনের কারণ। বাড়ছে উষ্ণায়ন, খুব তাড়াতাড়ি হয়ত গোটা পৃথিবীটাই বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। আর সেটা কত তাড়াতাড়ি ঘটতে পারে তারই একটা আভাস পাওয়া গেছে।
“তাড়াতাড়ি খুঁজে নিতে হবে বসবাসযোগ্য নতুন কোন গ্রহ,হাতে আছে আর মাত্র ১০০ টা বছর এর মধ্যে পৃথিবী ছাড়তে হবে অন্যথা নিশ্চিহ্ন হবে সমগ্র মানবজাতি”, এমনটাই বলেছেন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। বিবিসির নির্মিত নতুন তথ্যচিত্র “এক্সপেডিশান নিউ আর্থ” এ তিনি এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি আগেও কয়েকবার এবিষয়ে কথা বলেছেন তবে এবার খুবই জোর দিয়ে বলেছেন।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এক ভাষণে তিনি বলেন, “নতুন কোন বসবাস উপযোগী গ্রহের উপর সমগ্র মানবজাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, যত দ্রুত সম্ভব এই ক্ষণস্থায়ী গ্রহ (পৃথিবীকে) পরিত্যাগ করতে হবে নাহলে সমূহ বিপদ।” পরে তিনি এই সমস্যার বুদ্ধিদীপ্ত সম্ভাব্য সমাধান ও ইতিবাচক আশা ব্যক্ত করে ভাষণ শেষ করেন।
কেন স্টিফেন হকিং এধরনের ভবিষৎবাণী করলেন?
তার মতে, পৃথিবীর পরিবেশ আবহাওয়া খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। আগামিতে এই পরিবর্তনের হার আরও বেড়ে যাবে। বাড়বে উষ্ণায়ন, সমুদ্র পৃষ্ঠের জলস্তর। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে অক্সিজেন কমে যাবে, মহামারী দেখা দেবে, জনসংখ্যা বাড়বে, ছোটো বড় গ্রহ-গ্রহানু পৃথিবীর উপর আছড়ে পরবে। পৃথিবী পুরোপুরি বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাসযোগ্য নতুন কোন গ্রহ খুঁজে না পেলে মানবজাতির সম্পূর্ণ বিলুপ্তি হবে।
কিভাবে হাজার অগণিত সৌরমণ্ডলএর মাঝে বাসযোগ্য কোন নতুন গ্রহ খুঁজে পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে বিবিসির নির্মিত নতুন তথ্যচিত্র “এক্সপেডিশান নিউ আর্থ” নতুন পর্বগুলো থেকে। আর এ বিষয় নিয়ে বেষণা চলছে ।
খবর বিভাগঃ
Internet
Technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
মা স্টুডিও সন্দ্বীপ
0 comments: